September 11, 2025, 9:03 pm

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন পোর্টাল
সংবাদ শিরোনাম :
ডাকসু নির্বাচন: বিএনপির জন্য আত্মবিশ্লেষণের বার্তা ফরিদা পারভীন লাইফ সাপোর্টে ডাকসুর আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণা/ ভিপি সাদিক কায়েম, জিএস ফরহাদ দেশে দাম ২৫০০, ভারতে যাচ্ছে ১৫০০ টাকা দরে ১২০০ টন ইলিশ রাজবাড়ীতে মোটরসাইকেল রেসে প্রাণ গেল দুই বন্ধুর কেরুর আধুনিকায়ন ১৩ বছরেও শেষ হয়নি, ব্যয় বেড়ে দ্বিগুণেরও বেশি একাদশে ভর্তি শুরু, জেলা পর্যায়ে নন-এপিওতে ভর্তি ফি ৩ হাজার টাকা, ক্লাস ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে প্রাথমিকে বৃত্তি পরীক্ষা চালুর সিদ্ধান্ত, আসছে মিড-ডে মিল ইউক্রেন চুক্তি মানতে না পারলে সামরিকভাবে লক্ষ্য পূরণ করবে রাশিয়া: পুতিন সংকটাপন্ন অবস্থায় ফরিদা পারভীন, চিকিৎসায় সহায়তায় প্রস্তুত সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়

ফেব্রুয়ারিতে খুলতে পারে শিক্ষাঙ্গন, ৪ তারিখের মধ্যে প্রস্তুতি নির্দেশ

দৈনিক কুষ্টিয়া ডেস্ক/
প্রায় ১১ মাস পর খুলতে যাচ্ছে দেশের শিক্ষাঙ্গন। ৪ ফেব্রæয়ারির মধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতির নিদের্শ দেয়া হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি সাপেক্ষে স্বল্প সময়ের নোটিশে খুলে দেওয়া হবে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়।
বৃহস্পতিবার শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল বৈঠকে এসব নিয়ে আলোচনা হয়। সে অনুযায়ী দু-এক দিনের মধ্যে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গাইডলাইন পাঠানো হবে। তাতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) করোনা থেকে সুরক্ষা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ থাকবে। প্রসঙ্গত, গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে।
বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, বিদ্যমান করোনা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। যে কারণে শিক্ষা কার্যক্রম ফের চালুর ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। তবে কবে থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু হবে, সেই দিনক্ষণ নির্ধারিত হয়নি।
এদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার ব্যাপারে নির্দেশনা চেয়ে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে রিট করেছেন ভাওয়াল মির্জাপুর পাবলিক স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল কাইয়ুম সরকার। এর আগে একই বিষয়ে তিনি গত ১১ জানুয়ারি সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিশ দিয়েছিলেন।
জানা গেছে, ওই বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন এমপি, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব গোলাম মো. হাসিবুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
এর স্বাস্থ্যবিধি (হাইজিন) অনুযায়ী বিদ্যালয়ের টয়লেটসহ অন্যান্য দিক পরিচ্ছন্ন রাখা অন্যতম। এ ছাড়া শ্রেণিকক্ষ, মাঠ ও আশপাশ এলাকা পরিষ্কার করতে হবে। একইসঙ্গে স্যানিটাইজার-মাস্ক কেনা এবং শিক্ষক-কর্মচারীদের মানসিকভাবে তৈরি থাকতে হবে। করোনার কারণে স্কুল খুলতে বাড়তি ব্যয় হবে। সেই ব্যয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বিবিধ তহবিল থেকে নির্বাহ করবে। এ জন্য আলাদা কোনো খাতে ফি নেওয়া যাবে না বলে বৈঠকে আলোচনা হয়।
বৈঠকের একটি সূত্র জানায়, ১১ মাসের ছুটি শেষে শিক্ষার্থীদের জন্য বিদ্যালয় পুনরায় চালুর জন্য অন্তত ১৫ দিন সময় দেওয়া দরকার।
এই দিনগুলোয় শিক্ষক ও কর্মচারীরা দাপ্তরিক কাজ করবেন। এ সময়ে তারা স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতের যাবতীয় প্রস্তুতি নেবেন। সূত্র জানায়, যে গাইডলাইন তৈরি করা হয়েছে তাতে ৭টি প্রধান কলামে প্রায় অর্ধশত নির্দেশনা আছে।
এগুলোর মধ্যে আছে, নিরাপদ পানি সরবরাহ, হাত ধোয়া, জটলা না করা, পানির কলের সংখ্যা বৃদ্ধি, ছেলে-মেয়ের জন্য আলাদা শৌচাগার, ছাত্রীদের ঋতুকালীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা।
হাঁচি-কাশি দেওয়ার সময়ে মুখ ঢাকতে হবে। মুখে মাস্ক পরতে হবে। প্রয়োজনীয় জীবাণুনাশক ও সাবান সরবরাহ করতে হবে। খোলার আগেই শ্রেণিকক্ষ, শৌচাগারসহ গোটা বিদ্যালয় স্বাস্থ্যসম্মত ও জীবাণুমুক্ত করা হবে।
শৌচাগারে যাওয়ার পর সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কারের ব্যাপারে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের সচেতন করতে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। প্রতিদিন প্রতিষ্ঠানের চত্বর থেকে আবর্জনা সরাতে হবে।
অসুস্থ কেউ পাঠদানে বা বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকবেন না। নন-কনটাক্ট থার্মোমিটার থাকবে। উপসর্গ পাওয়া গেলে সন্দেহভাজনদের কোয়ারেন্টিনে পাঠাতে হবে।
এ সম্পর্কে স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষকে তথ্য জানাতে হবে। স্বাভাবিক অবস্থা না আসা পর্যন্ত কোনো ধরনের অভ্যন্তরীণ জমায়েত করা যাবে না।
অনলাইন ও দূরশিক্ষণে শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করতে হবে। প্রতিষ্ঠানে কাগজের সীমিত ব্যবহারের পন্থা নিতে হবে।
শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য অগ্রাধিকার দিতে হবে। বিদ্যালয় চলাকালে কেউ প্রয়োজন ছাড়া বাইরে যাবেন না। এসব বিষয় নিশ্চিত করবেন শিক্ষকরা।
এতে আরও আছে, মিড ডে মিল, বিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু ও শেষ ইত্যাদি এমনভাবে করতে হবে যাতে কোনো জটলা তৈরি না হয়। খাদ্য গ্রহণের সময় নিরাপদ দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে।
থালা-বাসন দৈনিক জীবাণুমুক্ত করতে হবে। বিদ্যালয়ের অবকাঠামো বিবেচনায় নিয়ে পাঠদান পরিকল্পনা করতে হবে। এ ক্ষেত্রে একাধিক শিফট বা সপ্তাহের একেক দিন একেক শ্রেণির বা একাধিক শ্রেণির পাঠদান করা যেতে পারে।
পাঠদানে শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে। পাঠপরিকল্পনায় পঞ্চম শ্রেণি, অষ্টম, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। এসব পরিকল্পনা তৈরি ও বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবেন মাঠপর্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তারা।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম বলেন, বিদ্যালয় পুনরায় চালুর ক্ষেত্রে করোনা পরিস্থিতির বাস্তবতা সামনে রাখা হবে।
তবে এখন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি। যদিও পরিস্থিতি উন্নতিশীল। তবু পরিস্থিতি আরও নিরাপদ মনে হলেই খোলা হবে। তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠান খোলার আগে শিশুবান্ধব পরিবেশ প্রতিষ্ঠা করা হবে।শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, হাত ধোয়া, হাঁচি-কাশিবিষয়ক শিষ্টাচার, সুরক্ষা সরঞ্জামের ব্যবহার, প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ অবকাঠামোগত পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা এবং নিরাপদ খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুতকরণের অভ্যাস গড়ে তোলাবিষয়ক তথ্য ও নির্দেশনা থাকবে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Comments are closed.

পুরোনো খবর এখানে,তারিখ অনুযায়ী

© All rights reserved © 2024 dainikkushtia.net
Maintenance By DainikKushtia.net